ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে ইনস্যুরেন্সের নামে লাখ লাখ টাকা হাতানোর অভিযোগে-বাড়ি ঘেরাও

ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে ইনস্যুরেন্সের নামে লাখ লাখ টাকা হাতানোর অভিযোগে-বাড়ি ঘেরাও। ছবি-আলমগীর
সুপ্রভাত বগুড়া (আলমগীর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি): ঠাকুরগাঁওয়ে লাইফ ইনস্যুরেন্সের কথা বলে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৮ নং শুকানপুকুরির সামসুল আলম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্সের এরিয়া ম্যানেজার সামসুল আলমের বাসা ঘেরাও করেন ভুক্তভোগীরা।
তাদের অভিযোগ, সামসুল আলমের কথামতো দ্বিগুণ লাভের আশায় ইনস্যুরেন্স খোলেন তারা। দু-একটি কিস্তির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও অফিস দূরে হওয়ায় সামসুল নিজেই কিস্তির টাকা তুলতেন। আর জমাকৃত টাকার বিপরীতে ধরিয়ে দিতেন ভুয়া কাগজ। এরই মধ্যে অনেকের মেয়াদ পূর্ণ হলে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে অফিস পর্যন্ত এসে বুঝতে পারে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা। জমা হয়নি একটি টাকাও। বিষয়টি এলাকায় জানাজানির পর অর্থ আদায়ে তার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই গ্রামের আব্দুল মালেক, নাসিমা বেগম, নাজমা খাতুনসহ অনেকেই জানান, আমরা সামসুলের হাতে টাকা দিয়েছি। তিনি আমাদের কাগজ দিয়েছেন। পরে দেখা গেছে সেই কাগজ ভুয়া। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমরা জানতে পারি টাকা জমা হয়নি। তার কাছে বারবার ধর্না দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। তিনি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হওয়ায় টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। আমরা বাধ্য হয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করেছি।
সামসুল আলমের স্ত্রী কাসনা বেগম জানান, আমার স্বামী কয়েক জনের কাছে টাকা নিয়ে নাকি ভুয়া কাগজ দিয়েছে। তার সমাধান আমরা দিতে চেয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে বাড়ি ঘেরাও করা চক্রান্ত। অভিযুক্ত সামসুল আলম জানান, সব টাকা অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। পারলে তারা আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন। এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।