ঠাকুরগাঁও জেলায় রুহিয়া থানার রামনাথে ব্যাটারি চালিত  অটো কার আবিষ্কার !

ঠাকুরগাঁও জেলায় রুহিয়া থানার রামনাথে ব্যাটারি চালিত  অটো কার আবিষ্কার ! ছবি-সজল

সুপ্রভাত বগুড়া (সজল আলী ঠাকুরগাঁও জেলা  প্রতিনিধি):  ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়া থানাধীন রামনাথ বাজারের পল্লী চিকিৎসক আলহাজ্ব ডাঃ ইব্রাহিম জামান একটা বিস্ময়কর অটো কার আবিষ্কার করেছেন বলে জানা যায় । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারটি অটো চার্জারের চাকা, পাঁচ টি ১২ ভোল্টের ব্যাটারী, প্রাইভেট কারের স্টিয়ারিং সহ প্রায় প্রাইভেট কারের প্রযুক্তি অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে এই অটো কারটি।

এই অটো কারটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, ব্যাটারীতে কোন প্রকার চার্জ দিতে লাগে না, চলন্ত অবস্থায় ডায়নামার সাহায্যে ব্যাটারী অটোমেটিক চার্জ হয়ে যায় । গাড়িটার গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬০ কিলোমিটার, হুবহু প্রাইভেট কারের মতই দেখতে গাড়িটি। এই কার টিকে নিয়ে এলাকায় বেশ কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।

Pop Ads

এলাকা সুত্রে জানা যায়, এই অটো কার টিকে দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই প্রায় শত শত মানুষ ভির জমাচ্ছে পল্লী চিকিৎসকের বাড়িতে। এ বিষয়ে অটো কার আবিষ্কারক পল্লী চিকিৎসক ও স্থানীয় সংবাদকর্মী আলহাজ্ব ডাঃ ইব্রাহিম জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বহু দিন ধরে চিন্তা ও স্বপ্ন দেখতাম যে নিজে নিজে কেমনে একটা ব্যাটারী চালিত অটো কার তৈরি করা যায়, আমি ধিরে ধিরে এই ব্যাটারি চালিত অটো প্রাইভেট কার টি আমার সহযোগী নারায়ণ চন্দ্র সহ এই কারটি তৈরি করতে শুরু করলাম, ১১ মাস ধরে এই অটো কারটি তৈরি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি এখনো গাড়িটির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি হয়তো কিছু দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

আর আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। আমি আমার নিজের জন্য এটি তৈরি করছি ও নিজেকে ধন্য মনে করতেছি।
পল্লী চিকিৎসকের কাছে এই অটো কারটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কারটা ব্যাটারী চালিত বটে, তবে ব্যাটারী চার্জ দিতে হবে না কারণ চাকার সাথে ডায়নামা সেট করা হয়েছে, যাতে করে ডায়নামার সাহায্যে অটোমেটিক চার্জ হবে। আর চারটি অটো চার্জারের চাকা ও পাঁচ টা ব্যাটারী দিয়ে তৈরি করছি এবং হাইড্রোলিক ব্রেক আছে যাতে গতি সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

অটো কার তৈরি কাজে নিয়োজিত ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি নারায়ন চন্দ্র বলেন, এই অটো কার তৈরি করার জন্য ডাক্তার সাহেব আমাকে অনেক দিন ধরে বলত, কিছু দিন পরে আমি তার কথায় গাড়ি টা তৈরি শুরু করি।তিনি আরও বলেন, ইব্রাহিম জামান সব কিছু দেখিয়ে দেন আমি শুধু ওয়েল্ডিং এর কাজ করি। ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসলে আমি শুনেছি এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসক আলহাজ্ব ইব্রাহিম জামান একটা অটো কার তৈরি করেছেন।

অটো কারটা কথা শুনে আমি অবাক হয়েছি। কি ভাবে ডাক্তার সাহেব এই অটো কারটি আবিষ্কার করল। তিনি বলেন, এটা একটা ক্ষুদে বিজ্ঞানির মত চমৎকার আবিষ্কার, এসব খুদে বিজ্ঞানীকে যদি সরকারি ভাবে সহায়তা করে তাহলে বাংলাদেশেও জাপান, চিনের মত গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা রাখছি