বগুড়ায় পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলেও মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি !

সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি): করোনার এ দুর্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচলের সরকারী নির্দেশনা থাকলেও বগুড়ার শাজাহানপুরে সিএনজি ও ম্যান হলার মালিক ও চালকরা সেসব নির্দেশনা মানছেন না। মাস্ক না পরেই সিএনজিতে গাদাগাদি করে ৫ জন ও ম্যান হলারগুলোতে ১২ জন করে যাত্রী আনা-নেয়া করছে।

তবুও প্রতিটি যাত্রীর নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। আর এসব তদারকি করার কেউ না থাকায় নিরুপায় হয়ে যাত্রীরা গাদাগাদি করে আসনে বসে চলাচল করছে এবং অতিরিক্ত ভাড়াও দিচ্ছেন। শুধু তাই না, কোনো যাত্রী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিলে বরং সেই যাত্রীকেই উল্টো মানহানিকর কথা শুনতে হচ্ছে।
সোমবার ২৪ আগষ্ট বগুড়া শহর থেকে শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া, বনানী, মাদলা, দুবলাগাড়ী, আড়িয়াবাজার, বীরগ্রাম, শাকপালা, জাহাংগীরাবাদ, রানীরহাট, ওমরদীঘি, গোহাইল ও জমাদার পুকুর এলাকায় যাতায়াতকারী পরিবহনগুলোতে এমন চিত্র দেখাগেছে।

Pop Ads

জানাযায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জনসাধরণকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে সরকার যানবাহন চলাচলের অনুমতি প্রদান করে। এ কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা মানছে আর স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব নির্দেশনা মানছেনা।

তবে সরকারি নির্দেশনার পর বেশ কিছুদিন যাত্রীদের ভাড়া বেশি লাগলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলাচল করছিল। কিন্তু তদারকির অভাবে এবং চালক ও মালিকদের অধিক অর্থের লোভে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিটি সিএনজিতে পাঁচজন ও ম্যান হলারগুলোতে ১০-১২ জন যাত্রী বহন করছে। ভাড়াও আদায় করছে প্রায় দ্বিগুণ হারে।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বড় যানবাহনে জরিমানা করলেও নজর নেই এসব ছোট যানবাহনে। ফলে এসব যানবাহনে নজরদারি না থাকায় তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই যাত্রী বহন ও অবাধে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় অব্যাহত রেখেছেন।

মাঝিড়া মোড়ে আশরাফ আলী নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, গাদাগাদি করে সিএনজিতে আড়িয়াবাজার হতে বগুড়া শহরে যাচ্ছি। কিন্তু ভাড়া গুনতে হয়েছে অতিরিক্তই। ম্যানহলার যাত্রী দুলাল মিয়া জানান, ১০ জন যাত্রীর মধ্যে বসে থেকে বগুড়ায় যাচ্ছি তথাপি দিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। তথাপি এসব দেখার কেউ নেই।

আর পরিবহনের চেইনম্যানরা জানান, পরিবহন ছাড়ার সময় কম যাত্রি তুলে দেয়া হয়। কিন্তু মাঝ পথে চালকরা যাত্রী তুলে নিয়ে যায়। এতে আমাদের করার কিছু থাকেনা। একই অবস্থা বাসগুলোতে। গাদাগাদি করে বসে শাজাহানপুরের উপর দিয়ে বগুড়া শহর ও শেরপুর উপজেলায় চলাচল চলছে। কিন্তু দেখবে কে ? তবে এবিষয়ে জানার জন্য শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিনের নিকট ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here