আব্দুস সালাম বাবু :
সবসময় সময় ধরেই কাজ করতেন। সময়মত সব কর্মসূচীতে উপস্থিত হতেন। হোক তা রাজনৈতিক অথবা সামাজিক কিংবা সাংস্কৃতিক কর্মসূচী। অথচ বড় অসময়ে তিনি চলে গেছেন বহুদূরে। যেখানে গেলে আর কেউ ফিরে না। ওপারে নিশ্চয়ই তিনি ভালো রয়েছেন। আজ তার ২য় মৃত্যু বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা। ছাত্রনেতা থেকে জননেতা হয়ে উঠা এমপি আব্দুল মান্নান ছিলেন গনমানুষের নেতা।
বগুড়াসহ গোটা দেশের রাজনীতির মাঠে নেতৃত্ব দেয়া মানুষটি ছিলেন নিরলস পরিশ্রমি। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বাহিরে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকান্ডে ছিল তার সরব উপস্থিতি। গণমাধ্যমের কর্মীদের অকৃতিম বন্ধু ছিলেন তিনি। অভিভাবক হারিয়েছে বগুড়া। প্রতিক্ষনে তার শূন্যতা অনুভব করে বগুড়াবাসী।
বিএনপি জামায়াতের দূর্গ খ্যাত বগুড়া-১ আসন থেকে জননেতা আব্দুল মান্নান নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সারিয়াকান্দির যমুনা ও বাঙালী নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন, দুই উপজেলায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিদ্যুত, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। স্বাধীনতার পর তার সময়ে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে।
বগুড়ার উন্নয়নে তিনি সবসময় কথা বলেছেন জাতীয় সংসদ সহ বিভিন্ন স্থানে। নিজ এলাকার মানুষের যেমন খোঁজ নিয়েছেন ঠিক তেমনি তার নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও জেলার সদর উপজেলাতেও তিনি উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে থেকে কাজ করে গেছেন। তিনি বগুড়া প্রেসক্লাবের সদস্য, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
শত বছরেও আরো একজন আব্দুল মান্নান সারিয়াকান্দির মাটিতে আর আসবে না। কর্মবীর, নিরলস পরিশ্রমী মানুষটি নেতৃত্বে যোগ্যতায় ছিলেন সব প্রশ্নের উর্ধ্বে। একারনেই সারিয়াকান্দির পল্লীতে জন্ম নেয়া মানুষটি আপন গুনেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলেন। নির্মোহ রাজনীতিবীদ মান্নান ভাই স্পষ্টভাষী মানুষ ছিলেন।
প্রতিহিংসার রাজনীতি কখনই করেন নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল মানুষটি সবসময় দেশ ও জনগনের কথা ভাবতেন। বিএনপি জামায়াতের ঘাটিতে দিনরাত পরিশ্রম করে নৌকার বিজয় এনেছেন। এ যেন পাথরে ফুল ফোটানো। তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
লেখক/প্রাবন্ধিক : মো: আব্দুস সালাম বাবু সহ-সভাপতি, বগুড়া প্রেস ক্লাব ও সম্পাদক- দৈনিক উত্তরের দর্পণ