পুরোনো শাড়ি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন চলতি ধারার পোশাক

সুপ্রভাত বগুড়া ( ফ্যাশন ও রুপচর্চা): পুরোনো শাড়ি। অনেক দিন হয়তো পরাও হচ্ছে না। সেই শাড়ি দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় চলতি ধারার পোশাক।পুনর্ব্যবহার বা রিসাইকেলিং—এখন ফ্যাশনসচেতন মানুষের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে।

গুগল বা পিন্টারেস্টে খুঁজলেই দেখা যায় পুরোনো কাপড় দিয়ে তৈরি নানা স্টাইলিশ ফ্যাশন অনুষঙ্গের ছবি। কী নেই সেখানে? ব্যাগ, জুতা, হেয়ারব্যান্ড থেকে পোশাক—সবই ব্যবহৃত পোশাক থেকে তৈরি হচ্ছে নতুন আঙ্গিকে।

Pop Ads

পাশ্চাত্যের দেশগুলো পুরোনো জিনসের নতুনরূপে ব্যবহার যেমন বেশ জনপ্রিয় তেমনি আমাদের এখানে অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয় ছিল পুরোনো শাড়ির ব্যবহার।

একটা সময় যখন ক্রেপ শাড়ির চল ছিল আমাদের এখানে তখন মায়ের সেই শাড়ি দিয়ে পোশাক বানাতেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান। বলছিলেন,‘ক্রেপ শাড়ির বুনন এমনই ছিল, যেকোনো পোশাকের ছাঁটে তা বেশ মানাত।

আর একটি শাড়ি দিয়ে তৈরি হতো কয়েকটি জামা।’ মা কানিজ আলমাস খানের ব্যবহৃত ব্রোকেট, কাতান শাড়ি দিয়েও পোশাক তৈরির গল্প বলছিলেন নুজহাত খান। কখনো পুরো শাড়ি দিয়ে আবার কখনো কামিজের হাতায়,

গলায় ব্রোকেট বা কাতানের আঁচল কিংবা পাড় বসিয়ে নিয়ে তৈরি করতেন স্টাইলিশ কামিজ।

যে সময়কার গল্প শোনালেন নুজহাত খান সেই সময়ে শাড়ি দিয়ে কামিজ বানানোর গল্প হয়তো আছে ঘরে ঘরেই। এই সময়ে এসে নিজের পোশাকনিজেই বানানো বা পরিকল্পনা করার সময় বের করা একটু কঠিনই বটে।

তবে করোনা সংক্রমণের এই সময় যে একেবারেই অন্য রকম। বেশির ভাগ সময়ই কাটছে বাড়িতে। হাতেও বাড়তি সময়। আপনার আলমারিতেও নিশ্চয়ই জমে আছে অনেক শাড়ি।

যেগুলো হয়তো আর তেমন পরা হবে না, সেই শাড়িগুলো দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন হাল ফ্যাশনের পোশাক। যেমনটা করে থাকেন মডেল ও ডিজাইনার জাকিয়া ঊর্মি। নিজের পোশাকে একটা অভিনবত্ব আসে। আবার চলতি ধারায় মানিয়েও যায় পোশাকগুলো।

ব্যবহৃত শাড়ি থেকে নতুন ধারার কী রকম পোশাক হতে পারে, তার কিছু নমুনা থাকছে এই প্রতিবেদনে।

বক্স ফিটেড পোশাক:
বক্স ফিটেড বা বাক্সের আদলে স্কার্টটি তৈরি হয়েছে হাফ সিল্ক শাড়ি থেকে। এ ধরনের শাড়ির সুবিধা হলো যেকোনো ছাঁটেই এটা সুন্দর লাগে। লম্বা হাতার টপ তৈরি হয়েছে খাদির ওড়না দিয়ে।

ফিউশন লেহেঙ্গা:
ফিরোজা রঙের মসলিন শাড়ি জাকিয়া ঊর্মি কিনেছিলেন কোনো এক পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে। সঙ্গে ছিল লাল ব্লাউজ।

বন্ধুর গায়েহলুদের নিমন্ত্রণ পেয়ে নতুন পোশাক বানিয়ে ফেলেন শাড়িটি দিয়ে। অভিনবত্ব আনতে তৈরি হলো মসলিনের ফিউশন লেহেঙ্গা।

ক্যাজুয়াল ফ্রক:
এই ফ্রকটি বানানো হয়েছে হাতে বোনা শাড়ি দিয়ে। গরমের জন্য এ ধরনের কাপড় বেশ আরামদায়ক। ফ্রকে ঊর্মির হাতে আঁকা কাঠগোলাপের নকশায় এসেছে নতুনত্ব।

ছয় ছাটের স্কার্ট:
পেঁয়াজ রঙের জমিনে ফিরোজা পাড়, এই শাড়িটি জাকিয়া ঊর্মি ৩৫০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন সদরঘাট থেকে। বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে পরার পর শাড়িটি পড়ে ছিল আলমারিতেই।

এই শাড়ি দিয়েই তিনি বানালেন ছয় ছাটের স্কার্ট। শাড়ির জমিনে সাদা, কালো, ফিরোজার চেক। সঙ্গে খাটো টপে এসেছে ট্রেন্ডি লুক।

ব্ল্যাক র​্যাপার:
ঢাকার চাঁদনী চকের সামনে একজন হকারের কাছ থেকে এই ছাপা শাড়িটি কিনেছিলেন ঊর্মি।

ছাপা কাপড়কে প্লিট করে বানিয়ে নিয়েছেন স্কার্ট আউটওয়্যার বা র​্যাপার। ভেতরে ইনার হিসেবে আছে কালো স্কার্ট। ওপরে এই আউটওয়্যার জড়িয়ে নিয়েই ঊর্মি তৈরি করলেন নিজস্ব স্টাইল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here