পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেজিতে ১২০ টাকা!

15
পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেজিতে ১২০ টাকা!

একদিন আগেও রাজধানীতে যে পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) তা ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছেই না। কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজারেও ভোরে যে দাম ছিল,সকাল ৯টায় তা মণপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকা বেড়ে গেছে। বিকেল নাগাদ বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।

Pop Ads

মোহাম্মদপুর বাজারের ব্যবসায়ী সোহরাব মিয়া বলেন, ভোরে কারওয়ান বাজার থেকে বহু কষ্টে চার মণ পেঁয়াজ এনেছি। আমি পাইকারিতে কিনেছি ৭ হাজার টাকা মণ দরে। আনতে খরচ পড়ছে আরও ৫০০ টাকা। এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি না বিক্রি করলে লোকসান হবে।

এক রাতেই পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বাজারে এসে অনেকে পেঁয়াজ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে গলাকাটা দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

মিরপুরের ক্রেতা ইকরামুল হক বলেন, গতকাল দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ১২০ টাকা করে। আজকে এসে দেখি সেটা ডাবল হয়ে গেছে। এক রাতের মধ্যেই বেড়ে গেলো ১২০ টাকা।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। ৮ ডিসেম্বর এ আদেশ জারি করে দেশটির সরকার। এদিন বিকেলে বাংলাদেশের বাজারে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর রাতেই দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১৪০-১৫০ টাকা কেজি। রাত পোহাতেই তা আরও এক দফা বাড়ে।

জানা গেছে, ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে রপ্তানি বন্ধের পদক্ষেপ নেয় দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। তবে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য যদি কোনো দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানায়, তাহলে তা বিবেচনা করবে সংস্থাটি।