পোশাক শ্রমিকদের ৮ হাজার টাকা মজুরি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ২ রাষ্ট্রদূত

25
পোশাক শ্রমিকদের ৮ হাজার টাকা মজুরি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ২ রাষ্ট্রদূত

দেশের তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা আর কতদিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড থিজ উডস্ট্রা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল তৈরি পোশাক খাতের পরিবেশবান্ধব রুপান্তরকে টেকসই করা বিষয়ে আয়োজিত এক সংলাপে তারা এ প্রশ্ন তোলেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ সংলাপের আয়োজন করে।

Pop Ads

সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি। আর প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন (বিজিএমইএ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম ও বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড থিজ উডস্ট্রা। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

অনুষ্ঠানে থিজ উডস্ট্রা বলেন, বাংলাদেশকে তার গ্রোথ মডেল নিয়ে পুনরায় চিন্তা করা প্রয়োজন। কারণ, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য একই সঙ্গে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে পোশাক খাতের ৪৫ লাখ শ্রমিকের কথা চিন্তা করতে হবে। বর্তমান বাস্তবতায় শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি ও কাজের পরিবেশ উন্নত করা ছাড়া কোনো বিকল্প দেখা যাচ্ছে না।

একই বিষয়ে চার্লস হোয়াটলি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতের বিষয়ে ব্র্যান্ডস ও বায়ারদের ভূমিকা কী তা নিয়ে আলোচনা দরকার। পাঁচ বছর আগে সর্বশেষ মজুরি বাড়ানো হয়েছিলো। বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় একটি সাধারণ পরিবার ৮ হাজার দিয়ে চলতে পারবে না। তাই মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে উদ্যোক্তা ও সরকারের পাশাপাশি ব্র্যান্ড ও বায়ারদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি গবেষণা ফেলো মুনতাসির কামাল। এতে তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের নিজ উদ্যোগে বর্তমানে দেশের ৬৯ দশমিক ৭০ শতাংশ বস্ত্র ও পোশাক কারখানা সবুজায়ন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ দশমিক ৫৫ শতাং কারখানা সবুজ হয়েছে মার্কেটিং কৌশলের কারণে আর ৩৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ সবুজ হয়েছে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার কারণে।