বগুড়ার ভবানীপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখল করে প্রাণনাশের হুমকি !

সুপ্রভাত বগুড়া (মারুফ হাসান,বগুড়া): বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আশগ্রাম খন্দকার পাড়ায় প্রবীণ লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা সবুর উদ্দিন ও তার ছোট ভাই সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতির জমি দখল করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছেন উগ্রবাদী দলের সদস্য শফিক।

জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সবুর এর সাথে ১০ শতাংশ জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র শফিকুল ইসলাম (৪৯) এর বিরোধ চলে আসছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল।

Pop Ads

এমতাবস্থায় গত ২৪ শে মে রবিবার সকাল ১০ টায় শফিক স্থানীয় প্রভাবশালীদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা সবুর উদ্দিন ও তার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার বসতবাড়ির পিছনে সীমানা পিলার ভেঙে ফেলে বাড়ির কাজে বাধা দেয় এবং ফসলি জমির আনুমানিক ১০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি করে এবং পাওনা জমির দাবি করলে প্রাণে মেরে ফেলবে এমন হুমকি প্রদান করেন উগ্রবাদী শফিক।

যদিও কিছুদিন আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জমি মাপ যোগ করে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে দিলেও শফিক মাপজোক কে অস্বীকার করে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।

এমতাবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা সবুর উদ্দিন শেরপুর থানায় একটি অভিযোগ পত্র প্রদান করে। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সবুর ও তার পরিবার সন্ত্রাসীদের ভয়ে শঙ্কিত।

গতকাল বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, পূর্বের স্থানীয় প্রতিনিধিরা আমিন দিয়ে বাড়ীর যে সীমানা খুটি দিয়েছে তাতে শফিকের জায়গার মধ্যে বাবলুর জায়গা নেই। সীমানা গুলই এখন কালের সাক্ষি হয়ে দাড়িয়েছে যা উগ্রবাদী শফিক মেনে নিতে নারাজ।

এবিষয়ে স্থানীয়রা জানায়,স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সীমানা নির্ধারন করে দিলেও উগ্রবাদী শফিক প্রতিনিয়ত গায়ের জোরে ভুক্তভোগী বাবলু কে বাড়ী বিক্রি করে পরিবারদের নিয়ে এলাকা ছেড়ে যাবার হুমকি দিয়ে আসছেন।

এবিষয়ে শফিককে জিজ্ঞেস করা হলে তা অস্বীকার করে এবং বলে, সরকারী আমিন নিয়ে আসলেও আমি কোন খরচ দেবনা এবং আমি আরও শক্ত অভিযানে যাব। বাবলু আমার কি করতে পারে আমি তা দেখব।

শেরপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবীরকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ বিষয়ে আমার যানা নেই, তবে খোজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here