সুপ্রভাত বগুড়া (এ.কে দিপংকর(সদর উপজেলা প্রতিনিধি): দরজায় কড়া নাড়ছে পৌরসভা নির্বাচন। বইতে শুরু করেছে বগুড়া পৌরসভারও নির্বাচনি হাওয়া। মাঠ গোছাতে শুরু করেছে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ১৮৭৬ সালের ১লা জুলাই স্থাপিত হয় প্রায় ৭০ কিলোমিটার আয়তনের বগুড়া পৌরসভা যা বাংলাদেশে সবচেয়ে বড়। ২১ ওয়ার্ডে বিভক্ত এই ওয়ার্ডের ভোটর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর বগুড়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শপথ নিলেও ফেব্রুয়ারী মাসে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারীতে বগুড়া পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পৌরসভা আইন ২০০৯ এর ধারা অনুযায়ী পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে। সে হিসেবে এ বছরের ডিসেম্বরেই হচ্ছে পৌরসভা নির্বাচন।
যেহেতু অক্টোবর থেকেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, সেহেতু করোনা আর নির্বাচনে বাঁধা হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই মাঠ পর্যায় থেকে তথৌ সংগ্রহ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি সচিবালয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভাগুলো নির্বাচন উপযোগী হলেই আমরা ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
দেশে বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে বলে তিনি জানান। এবার প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। কাউন্সিলর প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি এবং মেয়র প্রার্থীদের এইচএসসি লাগবে এমন গুজব অনেক প্রার্থীর কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছিল। যা মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছে নির্বাচন কমিশন।
ফলে শিক্ষাগত যোগ্যতা আর প্রার্থীর বাঁধা হচ্ছে না। তবে মামলা, ঋণখেলাপীসহ অন্য বেশ কিছু কারণে প্রার্থী অযোগ্য হতে পারে। গতবছরের মত এবারো মেয়রদের দলীয় প্রতিকে ভোট হবে। আর নির্বাচন ইভিএম মেশিন দিয়ে করার জন্য নির্বাচন কমিশন জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে। ফলে বলাই চলে বগুড়া পৌরসভা নির্বাচন ইভিএম মেশিনে হচ্ছে।