মাঠে বইমেলার সিদ্ধান্তে অনড় প্রকাশকরা, করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলা একাডেমি

মাঠে বইমেলার সিদ্ধান্তে অনড় প্রকাশকরা, করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলা একাডেমি। ছবি-সংগ্রহ

সুপ্রভাত বগুড়া (শিক্ষা-সাহিত্য): ভার্চুয়াল নয়, এবারও আগের মতোই খোলা মাঠে হবে একুশের বইমেলা। তবে প্রতিবারের মতো পহেলা ফেব্রুয়ারি নয়, শুরু হতে পারে ২০ বা ১৪ ফেব্রুয়ারি। রোববার দুপুরে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ একথা জানান।

তবে একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী জানিয়েছেন, করোনার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর এ বিষয়ে প্রকাশকদের কাছে প্রস্তাব চেয়েছেন তারা। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার শঙ্কায় এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা স্থগিত রাখতে চেয়েছিল বাংলা একাডেমি। ভার্চুয়াল মেলার প্রস্তাবনা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর খবরও এসেছিল গণমাধ্যমে।

Pop Ads

এ প্রেক্ষাপটে রোববার বাংলা একাডেমিতে যান প্রকাশকরা। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান তারা।
বৈঠক শেষে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, তাদের দাবি ছিল ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলা শুরু করা যায় কিনা? আমরা তাদের বলছি, ফেব্রুয়ারির কবে আপনারা বইমেলা শুরু করতে চান, সেই তারিখটি লিখিতভাবে আমাদের জানান।

তবে বাংলা একাডেমিকে অবশ্যই দুই মাস সময় দিতে হবে বইমেলা আয়োজনের জন্য এবং সবকিছু নির্ভর করে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উপরে, রাষ্ট্রযন্ত্রের বিবেচনার উপরে, সর্বোপরি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা যাতে সুনিশ্চিত হয়, সেই বিবেচনার উপরে। মেলা আয়োজন নিয়ে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির এবং পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে একাডেমি কর্তৃপক্ষ।

পরে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ জানান, ভার্চুয়াল নয়, এবারের মেলা অন্যান্যবারের মতো মাঠেই হবে। করোনাভাইরাস মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলা ‘আপাতত স্থগিত রাখতে’ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হবে বলে গত শুক্রবার জানিয়েছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। পাশাপাশি অনলাইনে মেলা আয়োজন করা যায় কিনা সেটিও বলেছিলেন তিনি।

তবে বাংলা একাডেমির এমন সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। রোববারের বৈঠকের পর বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, একটি কথা শোনা যাচ্ছিল, অমর একুশে বইমেলা ভার্চুয়ালি হবে। আজকে আমরা বাংলা একাডেমিতে এসে মহাপরিচালক, সচিব এবং বইমেলা কমিটির সদস্য সচিবের সাথে মতবিনিময় করেছি।

আলোচনা শেষে একটা সিদ্ধান্ত এসেছে যে, অমর একুশে বইমেলা চিরাচরিতভাবে যেভাবে হয়, সেভাবেই হবে।
তিনি বলেন, তারিখ কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। একটি তারিখ নির্ধারণ করে বইমেলা কিভাবে করা যায়, সেরকম একটি প্রস্তাব তৈরি করে আমরা বাংলা একাডেমিকে দেব। একাডেমি সেটি সরকারকে দেবে। সরকার অনুমতি দিলে ফেব্রুয়ারি মাসের যে কোনো তারিখ থেকে বইমেলা শুরু হবে।