মেজর (অব.) সিনহা হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশ করা ঠিক হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার বিষয়টি আদালতের নির্দেশে তদন্তাধীন। হত্যার পর পরই তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত শেষে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে। যদি আদালত চায় তাহলে প্রতিবেদন সরবরাহ করা হবে। তবে প্রতিবেদন নিয়ে গণমাধ্যমে কী এসেছে, তা কতটা ঠিক তার জানা নেই।

আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের একটি পত্রিকায় সিনহা হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে এ বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালতের নির্দেশনায় যে তদন্ত চলছে তা শেষ হওয়ার আগেই এটা পত্রিকায় কীভাবে প্রকাশ হলো, সেটা তার জানা নেই। যিনি বা যারা প্রকাশ করেছেন ও তথ্য সরবরাহ করেছেন তারা কাজটি সঠিক করেনি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Pop Ads

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতে তদন্ত চলছে। সুতরাং কোনো রকমের মন্তব্য করা সমীচিন হবে না। তবে আদালত যদি এই প্রতিবেদন চান, তাহলে আদালতকে দেওয়া হবে। নিরপেক্ষ একটি প্রতিবেদন যাতে বিচারকদের কাছে যায়, সেজন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা থাকবে। বর্তমানে আদালতের নির্দেশেই র‌্যাব সিনহা হত্যা তদন্ত করছে। তাদের প্রতিবেদনের আগে কোনো রিপোর্ট বের হলে সেই তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে। বিচারকরাও এটি চান না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল বলেন, সম্প্রতি তদন্ত কমিটি মন্ত্রণালয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে। তাদের সুপারিশগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিচারকার্যে বিচারক যদি এটির প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে দেওয়া হবে। না চাইলে নয়। এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনের খবর পত্রিকায় কীভাবে প্রকাশ পেল সেটি তার জানা নেই। এটা কতখানি সত্য বা কতখানি সত্য নয়, এটা এখন বলা যাবে না।

যেহেতু প্রতিবেদন পড়া হয়নি, প্রতিবেদন পড়ার পর বলা যাবে এটি সত্য না মিথ্যা? যিনি প্রকাশ বা তথ্য সরবরাহ করেছেন, তিনি কাজটি সঠিক করেননি। একটি স্বনামধন্য পত্রিকায় প্রসঙ্গটা লেখা হয়েছে। এর সত্যতা কতখানি এবং কার মাধ্যমে তথ্য গেছে-সেটি দেখা হবে। বিচারের আগেই কেন তিনি প্রকাশ করলেন সেটা জানার বিষয় থাকবে। উল্লেখ্য, তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গত সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কমিটির সদস্য লে. কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক জাকির হোসেন খান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here