পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বগুড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক – হত্যার পর তথ্য ফাঁস

পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বগুড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক - হত্যার পর তথ্য ফাঁস। ছবি-আবদুল ওহাব

সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব বগুড়া প্রতিনিধি): বগুড়ার শাজাহানপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু হানিফ ওরফে মিষ্টার (৪৮) কে শুক্রবার ৫ জুন প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

মর্মান্তিক এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে অজানা তথ্য। এ সম্পর্কে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, আবু হানিফ নিজেও একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন।

Pop Ads

তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৬ মে শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রামে যুবলীগ নেতা মজনু এবং তাঁর ভাতিজা নাহিদকে কুপিয়ে হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আরও চারটি খুনের মামলা সহ ৯টি মামলা রয়েছে।

হানিফ শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন।

পুলিশের নথি অনুযায়ী জানাযায়, ২০১৩ সালের ২৬ মে জায়গা দখলের টাকার ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন সভাপতি আবু জাফরের গন্ডগ্রাম নয়াপাড়া এলাকার বাসায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে।

ঐদিন শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মজনু মিয়া ও তাঁর ভাতিজা যুবলীগের কর্মী নাহিদ হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মজনু মিয়া একই এলাকার যুবলীগের নেতা শাহীন হত্যা মামলার প্রধান আসামি এবং পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন।

এই জোড়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামিও ছিলেন আবু হানিফ। এরপর ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে মজনু-নাহিদ জোড়া হত্যা মামলায় আবু হানিফ সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়।

পুলিশের ধারনা, এসব বিষয় ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বগুড়ায় প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ ওরফে মিষ্টারকে (৪০) হত্যা করতে পারে দুর্বৃত্তরা।

উল্লেখ্য বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু হানিফ ওরফে মিষ্টার শুক্রবার ৫ জুন মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন।

বাড়ির কাছেই শাকপালা মসজিদের দিকে যাওয়ার পথে তাকে একা পেয়ে পিছন থেকে এসে তার উপর উপর্যপুরী হামলা করে দুর্বৃত্তরা। কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রকাশ্যে রাম দা দিয়ে মাথায় ও শরীরে কুপিয়ে নির্মমভাবে জখম করে।

তার আত্ম চিৎকারে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে কাছে এলে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

এরপর তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

প্রতিবেশী ও স্বজনদের ধারনা রাজনীতি বা ব্যবসায়িক পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে কে বা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তা জানা যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here