সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনধি: বগুড়ার শাজাহানপুরের মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া ত্রানের ভিজিডি চাউল দোকানে বিক্রি করতে দেখা গেছে অসংখ্য উপকার ভোগীদের। যাদের ত্রানের চাাউলের দরকার নেই, এমন ধরনের লোকদের মাঝে কার্ড বিলি করার কারনে তারা বিক্রি করে টাকা পকেটে ভরছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ১৯ মে উপজেলার মাঝিড়া বন্দরে বিভিন্ন দোকানে চাউল বিক্রি করার মহা উৎসব দেখাগেছে। তবে যাচাই বাছাই ছাড়া জনপ্রতিনিধিরা তাদের মনপুত লোকদের মাঝে ত্রানের কার্ড বিতরণ করায় এই ধরণের ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
ফলে এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে এবং সঠিক ভাবে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত হত দরিদ্রদের মাঝে ত্রান বিতরণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি। সরেজমিনে জানাযায়, উপকার ভোগীরা উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডি’র বরাদ্ধের চাউল নিয়ে সোজা চলে আসেন মাঝিড়া স্ট্যান্ডের কয়েকটি চাউল দোকানে। চাউল ব্যবসায়ীরা দ্রুত সেই চাউল ক্রয় করে অন্য বস্তায় পার করতে থাকেন।
ব্যবসায়ীরা ত্রানের চাউল কেনার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন এবং হুবহু একই রকম দেখতে ক্যান্টনমেন্টের চাউল বলে চালানোর চেস্টা করেন। এসময় আরো অসংখ্য উপকার ভোগীরা ভ্যানে চাউলের বস্তা নিয়ে সেখানে হাজির হলে ব্যবসায়ীরা ত্রানের চাউলের বিষয়টি স্বীকার করেন।
ত্রানের চাউল বিক্রি করতে আসা উপকার ভোগীরা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, বাড়িতে চাউল আছেই। তাছাড়া এই চাউল খেতে ভাল লাগেনা তাই বিক্রি করছেন। একটু চিকন চাউল হলে ভালো হয়। ত্রানের চাউল কেনা উপজেলার মাঝিড়া স্ট্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, ত্রানের চাউল কেনা বেচা অপরাধ এটা তারা জানেন না।
অল্প কয়েক বস্তা চাউল কিনেছেন। ত্রানের চাউল নিয়ে যারা বিক্রি করছে তাদের ধরেন। আর যেসব জনপ্রতিনিধিরা এদের কার্ড করে দিয়েছে তাদের ধরেন। এবিষয়ে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান মওলানা আব্দুস সালাম জানান, তিনি ২৪ বছর হলো এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
শুরু থেকেই দেখে আসছেন ত্রানের চাউল নিয়ে উপকার ভোগীরা বিক্রি করে খাচ্ছেন। উপজেলার ৯ টা ইউনিয়নের কোথাও কোন লোক খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে না খেয়ে আছে। একেক জন ৩ বারের বেশি ত্রানের চাউল পেয়েছেন। তাদের বাড়িতে চাউল আছেই তাই এই চাউল নিয়ে বিক্রি করা টাকায় ঈদ মার্কেটে যাচ্ছেন।
এ ব্যপারে উপজেলা প্রকল্প উন্নয়ন অফিসার (পিআইও) শামছুন্নাহার শিউলীর সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (সার্বিক) আজিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
তবে তার এখতিয়ারের মধ্যে হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা পারভীন জানান, বিষয়টি বিস্তারিত জেনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।