সুপার সাইক্লোন আম্পানে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতেও জনমনে আতঙ্ক নেই ; খোলা রয়েছে দোকান পাট !

সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আম্পানের ফলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতেও মোংলায় জনমনে আতঙ্ক নেই। খোলা রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষজনের মধ্যেও নেই কোন ভয়ভীতি। 

আজ বুধবার ভোর থেকে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও বাতাসের তীব্রতা নেই এখানে। নদীতে স্বাভাবিকের চাইতে তিন থেকে চার ফুট পানি বেড়েছে বলে জানান বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান।  

Pop Ads

তবে তাতেও মোংলার মাঝিমাল্লারা বসে নেই। জীবিকার তাগিদে যাত্রী নিয়ে এপার ওপার ছুটছেন তারা। মহাবিপদ সংকেতে কেন দোখান খুলে বসে আছেন জানতে চাইলে স্থানীয় বস্ত্র ব্যবসায়ী মো. বাহাদুর মিয়া বলেন, ‘ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা করতে আসছেন, তাই আমরা বেচাকেনা করছি।’ 

এদিকে আম্পান এগিয়ে আসায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে লোকজনকে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে, পৌর শহরের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খুব বেশি লোকজন দেখা না গেলেও গ্রামের সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। 

পৌনে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান।

তিনি বলেন, ‘এখনও যারা আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি তাদেরকে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হবে এবং জানমাল রক্ষায় লোকজনকে যেতে বাধ্য করা হবে।’ 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সো. নাহিদুজ্জামান জানান, মোংলায় আটটি মেডিকেল টিমসহ এক হাজার ৮৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে, সাগর থেকে ধেয়ে আসা আম্পানের ফলে ১০ নম্বর সংকেত জারির পর বুধবার জরুরি বৈঠকে বসে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সকল বিভাগের প্রধানদের নিয়ে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান তাদের নিয়ে এ বৈঠক করেন। 

বৈঠক থেকে বন্দর চ্যানেলে যেসকল বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছিল সেসব জাহাজ নিরাপদে নোঙ্গরে আনার ব্যবস্থাসহ বন্দরের পাইলটদের ছুটি বাতিল করে তাদেরকে প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন। 

তিনি বলেন, ‘ঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় বন্দরে ছোট বড় ১০টি উদ্ধারকারী জাহাজও প্রস্তুত রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।’ সূত্র: একুশে টেলিভিশন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here