হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৬ !

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৬ ! ছবি-সংগ্রহ

সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: মানসিক সমস্যাগ্রস্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ ছয়জনকে আটক করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।

তবে, এটি মানতে নারাজ ভুক্তভোগীর পরিবার। তাদের দাবি, কর্মচারীদের মারধরের কারণেই মৃত্যু ঘটেছে এই পুলিশ কর্মকর্তার। সোমবার হাসপাতালের একটি কক্ষে তাকে প্রবেশ করিয়ে মারধর করা হয়। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আনিসুল করিমকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে ঢোকানোর পর হাসপাতালের ছয়জন কর্মচারী তাকে মাটিতে চেপে ধরে। তারপর আরও দুইজন কর্মচারী তার পা চেপে ধরে।

Pop Ads

এসময় আনিসুল করিমের মাথার দিকে থাকা দুইজন তাকে কুনুই দিয়ে আঘাত করছিলেন। আনিসুল করিমকে মারধরের সময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ঘটনা দেখছিলেন।হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার চার মিনিট পর আনিসুলকে উপুড় করা হলে তার শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। এসময় একজন কর্মচারী তার মুখে পানি ছিটালেও তিনি নড়াচড়া করছিলেন না।

তারপর কর্মচারীরা সেই কক্ষের মেঝে পরিষ্কার করেন। ঘটনার সাত মিনিট পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে এবং ১৩ মিনিটের মাথায় তার বুকে পাম্প করেন। আনিসুল করিম ৩১-তম বিসিএসের কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩-তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।