১৬ ডিসেম্বরকে ‘মহান স্বাধীনতা দিবস’ উল্লেখ করে নোটিশ রাবির বঙ্গবন্ধু হলে

794

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ১৬ ডিসেম্বরকে ‘মহান স্বাধীনতা দিবস’ উল্লেখ করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হলটির নোটিশ বোর্ড, ডাইনিং ও ক্যান্টিনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই নোটিশ দেখতে পাওয়া যায়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সকল আবাসিক ছাত্রদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ১৬.১২.২০২১ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ৭.০০ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে এবং ৭.০৫ মিনিটে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সেই লক্ষে সকাল ৬.৪৫ মিনিটে সকল আবাসিক ছাত্রদের হল গেটে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।” নোটিশটিতে স্বাক্ষর করেছেন হল প্রাধ্যক্ষ ড. রওশন জাহিদ।

Pop Ads

এই ঘটনাকে ‘নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার অভাব’ বলে উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট নাট্যকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, ‘এগুলো খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। এ ধরণের ভুল আমার আগেও লক্ষ্য করেছি। এর অন্যতম কারণ হলো আমাদের নিষ্ঠার এবং আন্তরিকতার অভাব। আমরা আমাদের দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। সাধারণত কোনো বিষয় জনসম্মুখে প্রকাশের পূর্বে আমাদের উচিত সেটা যাচাই করে নেওয়া।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ ড. রওশন জাহিদ বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তার কাছে এরকম ভুল আশা করা যায় না। আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’

এদিকে, এই ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ ড. রওশন জাহিদ। তিনি বলেন, ‘অনেক ব্যস্ততার মধ্যে থাকার কারণে বিষয়টি ঠিকভাবে খেয়াল করা সম্ভব হয়নি। আমরা নোটিশটি সরিয়ে নিয়েছি এবং সংশোধিত নোটিশ প্রকাশ করার ব্যবস্থা করছি।’

তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলছেন, ‘আজকের দিনে এধরনের ভুল মেনে নেয়া যায় না। বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ক্ষেত্রে হল কর্তৃপক্ষের আরও বেশি আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন ছিল। এছাড়া হল কর্তৃপক্ষ কীভাবে এত বড় ভুল করে তা তদন্ত হওয়া দরকার।’

 

সুপ্রভাত বগুড়া/ এম রাসেল আহমেদ