সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): সুপার সাইক্লোন-ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের ছোবলে ক্ষতিগ্রস্থ্য দেশের প্রায় ২৬টি জেলা। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সরকারিভাবে পূর্ব থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণের ফলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কম হলেও দেশের প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ইতি মধ্যেই সরকার ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
এদিকে সুপার সাইক্লোন আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের আজ থেকেই ঘর নির্মাণ, অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও পরিচালকরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় কাজ শুরু করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদের ছুটির সময়ও সক্রিয় থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। লোকডাউন পরিস্থিতে সরকারি ছুটির দিনেও সবসময় খোলা ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অনলাইন এবং অফলাইনে নিয়মিত ফাইল দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিচ্ছেন।
এছাড়াও মন্ত্রিসভা, একনেক, বাজেট, ৬৪ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সে নিয়মিত সভা, সর্বশেষ গতকাল জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিমুহূর্তে তথ্য নিচ্ছেন। তার নির্দেশে ঈদের ছুটির মধ্যেও অফিসের সবাই সক্রিয় থাকবেন।
আজ সকাল থেকেই করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি একই সাথে পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব জেলা উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সচিব ও পরিচালকরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছেন।
বিশেষ করে গত দুইদিন ধরেই উপকূলীয় এলাকার লোকজনদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, তাদের খাবার ব্যবস্থা করা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য ব্যস্ত সময় পার করেছেন।ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করে ত্রাণ বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকেই।
একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ লাইন মেরামত কৃষি ও গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, সড়ক বাঁধ ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজও চলছে।