ইতালি-স্পেনের পর বিশ্বের পরবর্তী করোনা হটস্পট বাংলাদেশ; মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের

ইতালি-স্পেনের পর বিশ্বের পরবর্তী করোনা হটস্পট বাংলাদেশ; মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। প্রতিকী-ছবি

জুনেই আক্রেন্তের সংখ্যা লাখ ছাড়ানোর সম্ভাবনা !

সুপ্রভাত বগুড়া (প্রচ্ছদ): দেশে যে পরিমাণে রেকর্ডে পর রেকর্ড ভেঙে করোনা ভাইরাসের রোগী বাড়ছে তাতে তীব্র চাপের মধ্যে পড়ছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দেশে মরণঘাতি এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৫০ হাজার তথা অর্ধলক্ষ।

সেই সঙ্গে একদিনের আক্রান্তের রেকর্ড ভেঙে গেছে। এরই মধ্যে একটি গবেষক দল সতর্ক করে দিয়েছে যে চলতি মাসের শেষের দিকে শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। তারা বলছে, দেশে রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার অতিক্রম করেছে।

Pop Ads

এই সংখ্যা বেড়ে জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ৮৭ হাজার এবং জুন মাসের শেষের দিকে ১ লাখ ২৩ হাজারে পৌঁছতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের একটি টিম যৌথভাবে এই গবেষণা চালিয়েছে।

গবেষণা দলের প্রধান ঢাবির স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শফিউন শিমুল বলেন, মহামারি মডেলের অনুসরণ করে অনুমানটি করা হয়েছে বর্তমানে কোভিড-রোগী বাড়ার হারের ওপর ভিত্তি করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর আক্রান্ত দিক দিয়ে ইতালি-স্পেনসহ ইউরোপকে ছাড়িয়ে এখন করোনার অন্যতম হটস্পট ব্রাজিল ও রাশিয়া। এই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে গবেষণা দলটিকে। অধ্যাপক শফিউন শিমুল বলেন, ‘সবকিছু পুনরায় চালু করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের বিস্তার আরও দ্রুত বাড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো না হলেও ব্রাজিল বা রাশিয়ার মতো বাংলাদেশ এই ভাইরাসের পরবর্তী উপকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।’ তিনি আরও জানান, দলটি নিয়মিতভাবে এই জাতীয় মহামারী সংক্রান্ত মডেল ভিত্তিক অনুমান প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেয়।

মহামারী বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলেছেন যে অপর্যাপ্ত পরীক্ষা ও রোগী সনাক্তকরণের কারণে অনেক রোগী এখনও শনাক্ত করা যায়নি, ফলে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। সরকার প্রতিদিনের পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়েছে।

তারপরও দেশের ১০ হাজার মানুষের মধ্যে মাত্র দুজনের পরীক্ষা করা হয়েছে। বিশ্বে করোনাভাইরাসে প্রচণ্ড পরিমাণে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে এটি সর্বনিম্ন হারের একটি।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সতর্কতা উপেক্ষা করে সরকারি-বেসরকারি অফিস, পরিবহন ব্যবস্থা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করা কেবল বিষয়টিকে আরও খারাপ করে তুলবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here