জয়পুরহাট প্লেট-কলাপাতা হাতে নিয়ে চিনিকল শ্রমিকদের বিক্ষোভ

জয়পুরহাট প্লেট-কলাপাতা হাতে নিয়ে চিনিকল শ্রমিকদের বিক্ষোভ । ছবি-এম রাসেল

সুপ্রভাত বগুড়া (এম রাসেল আহমেদ, জয়পুরহাট): শ্যামপুর চিনিকলের মাড়াই কাজে ব্যবহৃত চুন এবং সালফার নিতে আসা জয়পুরহাট চিনিকলে দু’টি ট্রাকে ফিরিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারী কর্মকর্তা শ্রমিক আখ চাষিরা। এসময় আতাউর নামে জয়পুরহাট চিনিকল এর একজন প্রতিনিধিকে চিনিকল থেকে বের করে দেয়া হয়।

রোববার সকাল সাড়ে আটটা থেকে চিনিকলটির সামনে অবস্থান নিয়ে এই বিক্ষোভ করছে তারা। বেলা পৌনে বারোটায় শ্যামপুর চিনিকলে মারার জন্য প্রস্তুত রাখা চুন এবং সালফারসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যাওয়ার জন্য দু’টি ট্রাক যায় জয়পুরহাট চিনিকল থেকে। ট্রাক দু’টি প্রশাসনিক ভবনের সামনে দাঁড়ালে উত্তেজিত হয়ে ওঠে আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে মাইকে ঘোষণা করা হয় ট্রাক দু’টি চলে যাওয়ার জন্য।

Pop Ads

এক পর্যায়ে শ্রমিকদের তোপের মুখে দু’টো ট্রাক ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যায়। এরইমধ্যে আতাউর নামে একজন চিনিকলের প্রতিনিধি চিনিকলের ভেতরে ঢুকলে সেখান থেকে তাকে বের করে বের করেও দেন শ্রমিকরা। এর আগে সকাল থেকে প্লেট এবং কলাপাতা হাতে নিয়ে ভাতের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন শ্রমিক কর্মকর্তা ও আখ চাষিরা।

তাদের দাবি, গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকার সেখান থেকে সরে না আসা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত আখ চাষিরা ঘোষণা দিয়েছেন জয়পুরহাট চিনিকলে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি আখও তারা কাটবেন না।

শ্যামপুর চিনিকল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বুলু আমিন জানান, আমরা আমাদের রুটি-রুজির জন্য আন্দোলন করছি। এ বিষয়ে সুরাহা না হলেও জয়পুরহাট চিনিকল থেকে শ্যামপুর চিনিকলের মাড়াই এর জন্য প্রস্তুত রাখা চুন সালফারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যাওয়ার জন্য জয়পুরহাট চিনিকল কর্তৃপক্ষ দু’টি ট্রাক (জয়পুর হ- ১১-৩০১৭, জয়পুর -হ-১১-৪২৩০) পাঠিয়েছিল। এসময় আন্দোলনকারী শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ট্রাক দুটিকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

একইসাথে আসা জয়পুরহাট চিনিকল এর প্রতিনিধি আতাউর রহমানকে চিনিকল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, এরপর এই চিনিকলের মালামাল নেয়ার জন্য কোনো যানবাহন কিংবা ব্যক্তি আসলে তাদেরকে রুখে দেয়া হবে। শ্যামপুর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সাগর জানান, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি আখ-ও আমরা জমি থেকে কাটবো না মিল চালু না হলে প্রয়োজনে আমাদের আখ জমিতে পচে যাবে। আমাদের আখ আমরা শ্যামপুর চিনিকলে মাড়াই করব।