বগুড়ায় স্বাস্থ্যকর্মীর ভুল সিদ্ধান্তে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা, আতঙ্কে জনসাধারণ !!

বগুড়ায় স্বাস্থ্যকর্মীর ভুল সিদ্ধান্তে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা, আতঙ্কে জনসাধারণ !! ছবি-খালেদ সিদ্দিকী

সুপ্রভাত বগুড়া (খালেদ সিদ্দিকী): বগুড়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী মশিউর রহমান বিপ্লবের ভুল সিদ্ধান্তে এলাকায় করোনা ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, বগুড়া গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের ভঙড় গ্রামের আকিল চন্দ্রের ছেলে শ্রী লিটন চন্দ্র নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে। বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সে ছুটিতে আছে।

Pop Ads

কিন্তু নিজ উদ্যোগে সচেতন থাকার কারণে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিবেশী শ্রী অশোক কুমার কে বিষয়টি জানালে তিনি একই গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী মশিউর রহমান বিপ্লব এর সাথে কথা বলেন।

বিপ্লব শ্রী লিটন চন্দ্র কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় এবং ৩০ তারিখে লিটন চন্দ্র গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাস এর নমুনা দিয়ে আসেন এবং নিজ উদ্যোগে সচেতন হয়ে বাড়িতে অবস্থান করেন।

কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মী বিপ্লব লিটন চন্দ্র কে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করার অনুমতি দেন। লিটন চন্দ্র তার প্রতিবেশী আকিল চন্দ্রকে বিষয়টি জানালে আকিল চন্দ্র স্বাস্থ্যকর্মী বিপ্লবকে ৪ তারিখে একাধিকবার ফোন দিলে প্রতিবার বিপ্লব বলেন, লিটন চন্দ্রের করোনা ভাইরাস নেগেটিভ আসছে সে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা সহ সবার সাথে মিশতে পারবে।

তখন লিটন চন্দ্র গ্রামের সহপাঠীদের সাথে মিশতে থাকে। কিন্তু ৭ তারিখ লিটন চন্দ্র কে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফোন দিয়ে বলে আপনার করোনা ভাইরাস পজেটিভ। তখন এলাকাতে উত্তেজনা অবস্থা বিরাজ করতে থাকে।

লিটন চন্দ্রের অভিযোগ রিপোর্ট আসার আগেই কেন আমাকে বাহিরে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে বলা হলো আমার মাধ্যমে গ্রামের অন্য লোকদের শরীরে ভাইরাসটি ছড়িয়ে গেছে বর্তমানে আমি নিজ দায়িত্বে ঘরে অবস্থান করছি।

এ ব্যাপারে অশোক কুমার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, নমুনা দেওয়ার ৫ দিন পর স্বাস্থ্যকর্মী বিপ্লব বলেছেন লিটন চন্দ্রের করোনা ভাইরাস নেগেটিভ কিন্তু ৩ দিন পর রিপোর্ট এসেছে করোনাভাইরাস পজেটিভ তাহলে কেন তাকে বিভ্রান্ত করা হলো এবং তার মাধ্যমে গ্রামের অনেক লোকের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে গেছে এখন এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে আছে। 

অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী মশিউর রহমান বিপ্লব এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার মনে হয়েছে তাই আমি তাকে নেগেটিভ বলেছি, যেহেতু লিটন চন্দ্র গ্রামের অন্য লোকদের সাথে মিশেছে ভাইরাসটি তাদের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে এখন কি আপনি পুরো গ্রামের সকল ব্যক্তিকে পরীক্ষা করাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে বলেন, প্রয়োজনে পুরো গ্রামের লোকদেরকে ভাইরাসটি পরীক্ষা করাবো আপনার সমস্যা কোথায়? 

এ ব্যাপারে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক আতাউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, স্বাস্থ্যকর্মী মশিউর রহমান বিপ্লব যা বলেছেন তা আইনসঙ্গত নয় এবং যদি করোনা ভাইরাস এর নমুনা জমা দিয়ে রিপোর্ট আসার আগেই তাকে নেগেটিভ বলে এটা অবশ্যই তিনি ভুল করেছেন।

তার মাধ্যমে এখন অনেকেই সংক্রমিত হতে পারে।উল্লেখ্য মশিউর রহমান বিপ্লব যে কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকরি করেন সেই কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কারের জন্য ৩৫ হাজার টাকায় টেন্ডার নেয়।

এবং তার কাছে কোনো রোগী গেলে প্রেসক্রিপশন করে দিয়ে তার নিজস্ব বিপ্লব ফার্মেসিতে পাঠানো হয়। এবং একই গ্রামের সন্দেশ এর পুত্র মাছ ব্যবসায়ী সবুজকে ৫ হাজার টাকা সহ এলাকাতে একাধিক ব্যক্তি কে সুদের উপরে টাকা দিয়ে চাপ দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here