বয়সভেদে চুলের যত্ন ভিন্ন!

7
বয়সভেদে চুলের যত্ন ভিন্ন!

বয়সভেদে চুলের ধরন ও যত্ন একেক রকম হয়ে থাকে। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিন্দিয়া বিউটি কেয়ারের স্বত্বাধিকারী ও রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি। লিখেছেন ফাতেমা ইয়াসমীন।

শিশু, কিশোরী, তরুণী ও বয়স্কদের চুলের ধরন এক রকম হয় না।

Pop Ads

ছোটরা নিজে নিজে চুলের যতœ নিতে পারে না। ছোটদের চুলের খেয়াল বড়দের রাখতে হয়। আবার ছোট ও বড়দের চুলের ধরনে ভিন্নতা থাকে। এ জন্য বয়স ও চুলের ধরন বুঝে চুলের যতœ নিতে হয়।

শিশুর জন্মের প্রায় এক মাস পর শিশুর চুল কাটা উচিত। শিশুর চুল ভালো রাখতে নিয়মিত বেবি শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অনেকের ধারণা, ঘন ঘন চুল ছেঁটে দিলে শিশুদের চুল বেশি গজায়, চুল ঘন ও কালো হয়। এর কোনো ভিত্তি নেই।

বড় হতে হতে শিশুদের চুল এমনিতেই বৃদ্ধি পায়। শুধু চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত তেল ম্যাসাজেও শিশুদের চুল ভালো থাকে। তবে খুশকি হলে তেল ব্যবহার না করাই ভালো। স্কুলগামী শিশুদের চুলে ময়লা বেশি হয়।

এ জন্য তাদের চুলের প্রতি বেশি খেয়াল রাখতে হবে। অনেক অভিভাবকই ঠাণ্ডা লাগার ভয়ে শীতের দিনে ছোটদের নিয়ম মেনে শ্যম্পু করান না। রোজ দরকার নেই, তবে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে স্কুলগামী শিশুদের চুল ধুয়ে দিতে হবে। নিয়মিত নারকেল বা অলিভ অয়েল মালিশও বেশ উপকারী। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, চুলের গোড়ায় পুষ্টি যায়। ছোটদের নিয়মিত চুল আঁচড়ে দিন।
কিশোরীদের চুল এমনিতেই ঝলমলে ও সুন্দর হয়ে থাকে। দরকার শুধু সঠিক পরিচর্চা। তবে কিশোরীদের হরমোন পরিবর্তনের কারণে এ সময় চুল পড়া, রুক্ষতা, খুশকি হওয়া, চুলের আগা ফাটার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সঠিকভাবে যতœ নিতে পারলে এসব সমস্যা থেকে দূরে থাকবে চুল। চুল রুক্ষ হলে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এতে চুল মসৃণ ও ঝলমলে হবে। ১২-১৪ বছর থেকেই হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কিশোরীদের হেয়ার স্টাইলিং টুলস ব্যবহার না করাই ভালো। যদি হিট স্টাইলিং করতেই হয় আগে হিট প্রটেক্টর স্প্রে করে নিতে হবে। এতে চুল সুরক্ষিত থাকবে। তৈলাক্ত চুলে নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে। এ জন্য মাইল্ড শ্যাম্পু বেছে নিতে পারেন। তৈলাক্ত চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে এক দিন ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করলেও উপকার মিলবে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ৩০-এর পর চুলের যতেœ বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। চুলের যতেœ অবশ্যই সঠিক শ্যাম্পু নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে চুল পড়ে যেতে পারে। নির্দিষ্ট বয়সের পর চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু বেছে নেওয়া প্রয়োজন। চুল আঁচড়াতে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন। এতে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে। বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। এতে চুল ছিঁড়বে কম। চুল স্পা করুন নিয়মিত। বয়স ৪০-এর কোটায় পা দিয়ে স্পা করা দরকার। এতে চুল ভালো থাকবে। চুলের যেকোনো সমস্যা দূর হবে স্পা করলে। কখনো অধিক চুল পড়া, কখনো রুক্ষভাব, কখনো অকালপক্বতা। এসব সমস্যা বাড়তে থাকে বয়সের সঙ্গে। সমস্যা দূর হবে নিয়মিত স্পা করলে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। সব বয়সীদের চুলের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।