বাড়ছে চালের দাম, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণার তোয়াক্কা নেই বাজারে

3
বাড়ছে চালের দাম, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণার তোয়াক্কা নেই বাজারে

চালের দাম বাড়বে না, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের এমন ঘোষণার কোনো তোয়াক্কাই করছেন না মিল মালিকরা। কারণ ছাড়াই তারা রাজধানীতে বন্ধ করেছেন চালের সরবরাহ। আর এতেই দুই সপ্তাহে মিনিকেটের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭ টাকা পর্যন্ত। পাইকাররা বলছেন, বাড়তি দরের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অন্যান্য চালও।
চালের বাজার স্থিতিশীল। রমজানে বাড়বে না চালের দাম। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর এমন হুঁশিয়ারির সপ্তাহ পার না হতেই ৫০ কেজির মিনিকেট চালের বস্তায় দাম বেড়েছে ৩৫০ টাকা। যা দুশ্চিন্তার নয়া ভাঁজ ফেলেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের কপালে।

প্রতি বছর রমজান আসার আগেই বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম। মাছ, মাংস, শাক-সবজি আর মুদিপণ্যের পর এবার সেই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে চালের বাজারে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন চালের দাম বেড়ে গেছে কেজিতে ৭ টাকা পর্যন্ত।

Pop Ads

ক্রেতারা বলছেন, সবচেয়ে কম দামের মোটা চালও এখন ৫৫ টাকা কেজি। আরেকটু ভালো মানের মিনিকেট কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ৭৫ টাকার ওপরে। চাল কেনার পর অন্য কিছু কেনার আর সামর্থ্য থাকে না।

বাজার সিন্ডিকেট সর্ম্পকে এক ক্রেতা বলেন,
সিন্ডিকেট নিয়ে মন্ত্রীদের কথা না বলাই উচিত। তারা কোনো কিছু নিয়ে কথা বললে, সেটির দাম কমার বদলে আরও বেড়ে যায়। মন্ত্রীদের কথা ও কাজের মিল থাকতে হবে। না হলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে না।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়, সাত দিন আগেও তা ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। প্রতিকেজি মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়, কয়েকদিন আগে যা বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়।

অস্থির নিত্যপণ্যের বাজারে কেনো নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে চাল। কারণ অনুসন্ধানে গেলে আবারও আসে সেই করপোরেট সিন্ডিকেট প্রসঙ্গ। পাইকার ও আড়তদাররা জানান,
কয়েকটি মিল সিন্ডিকেট করে চাল মজুত করে রেখেছে। যার প্রভাবে দাম বাড়ছে বাজারে।

শুধু ক্রেতা নয় বিপাকে পড়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরাও। তারা বলেন, দাম বাড়ায় কমেছে বিক্রি। তাছাড়া ক্রেতার সঙ্গে প্রায়ই হচ্ছে কথা কাটাকাটি।

এদিকে, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আর ভোক্তারা চান মিল পর্যায়ে তদারকি চালিয়ে দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা খুঁজে বের করুক সরকারি তদারকি সংস্থাগুলো।