সারিয়াকান্দীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, মেশিন গুড়িয়ে দিল ইউএনও

সারিয়াকান্দীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, মেশিন গুড়িয়ে দিল ইউএনও। ছবি-ওহাব

সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব):  বগুড়ার সারিয়াকান্দী উপজেলার জোড়গাছা গ্রামে বাড়ির আঙ্গিনায় গভীর ডীভ মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে এসব কাজে ব্যবহৃত মেশিন ও যন্ত্রপাতি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার ১০ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সেকিউটিভ মেজিষ্ট্রেট মোঃ রাসেল মিয়া এর নির্দেশে চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোঃ রবিউল ইসলাম ও সংগীয় ফোর্স এসব যন্ত্রপাতি গুড়িয়ে দেন।

জানাগেছে, জোড়গাছা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে পাশা মিয়া (৩৬), সারোয়ার হোসেনের ছেলে মিলন (৩২), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মানিক মিয়া (৪০) ও মোবারক হোসেনের ছেলে আফিজার রহমান বাড়ির আঙ্গিনায় গভীর ডীভ মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালু ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এতে করে ওই ভুমি নীচের দিকে ডেবে যায় এবং পাশের বসত-বাড়িগুলোও ভেংগে পড়ার আশংকা দেখা দেয়।

Pop Ads

সারিয়াকান্দী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সজেকিউটিভ মেজিষ্ট্রেট মোঃ রাসেল মিয়া বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক এ সব তথ্য তাকে জানালে তিনি চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচ্ার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ দারুল ইসলামকে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিলে ওই তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রবিউল ইসলাম সংগীয় ফোর্স সহ সরেজমিনে সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এ পদক্ষেপ গ্রহন করেন।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন যাবত এসব ভুমিদস্যুদের অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়াও চলছে। স্থানীয়রা জানান, পাশা, মানিক, আফিজার ও মিলন এরা ভুমিদস্যু। বছরের পর বছর এরা এলাকায় কৃষিজমি ও নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। ফলে কৃষিজমি ডেবে ডোবা নালা ও গর্ত হয়ে যাচ্ছে ও নদীপাড় ভেংগে আবাদী জমিগুলো নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।

এদের সাহসীকতা ও র্দুবৃত্তায়ন সীমাহীন আকার ধারন করেছে। তাই শুধু যন্ত্রপাতি ভাংগা নয়, এ এলাকার বসত-বাড়ি, ভুমি ও নদীতীর সংরক্ষন রক্ষার্থে তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়ার জন্য তারা দাবী জানান। অন্যথায় সরকারের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি সহ ্ এ এলাকার জনগন ভুমি ও বসতভিটা হারা হয়ে পড়বে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here