হরিনাকুন্ডতে সর্বহারা শহিদুল ইসলাম পচা বাহিনীর ক্যাডার সন্ত্রাসী সোহেল এখনো সক্রিয় 

হরিনাকুন্ডতে সর্বহারা শহিদুল ইসলাম পচা বাহিনীর ক্যাডার সন্ত্রাসী সোহেল এখনো সক্রিয় । ছবি-রাসেল

সুপ্রভাত বগুড়া (রাসেল আহাম্মেদ ঝিনাইদহ): ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার পারদখলপুর গ্রামের চিহিুত সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম ওরফে(পচাঁ)বাহিনীর প্রধান এখন তারই সহকারী সোহেল। সর্বহারা পচা বাহিনীর প্রধান শহিদুল ইসলাম পচা র‌্যাবের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তারই সহকারী সোহেল সর্বহারাদলের দ্বায়িত্ব নেন বলে গোপনসংবাদর ভিত্তিতে জানা গেছে।

সোহেল পার্শবর্তী শৈলকুপা উপজেলার মালমারী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। সোহেলের গ্রামের কয়েকজন জানান,সোহেলের ছোট্রচাচা মনজুরুলও সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে জড়িত ছিলেন,সেই সময়ই সে মার্ডার হন। যার পরপর সোহেল চাচার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অবৈধ বাহিনীর সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং সে গ্রাম ছাড়া হন, শুনছি কয়েকবার তার জেল-জরিমানাও হয়েছে, তারপর আর সে গ্রামে আসতে পারেনী, আসলেও রাতের আধারে আসে, শুনেছি ঝিনাইদহে থাকে।

Pop Ads

সোহেলের স্ত্রী সন্তান আছে কি না সে ব্যাপাওে জানতে চাইলে বলেন,তার স্ত্রী আছে একটি ছেলে সন্ত্রান আছে,এইতো কয়দিন হলো তার মোসলমানিতে দাওয়াত খেয়েছি। তার আর কোন স্ত্রী আছে কি না জানতে চাইলে বলেন,আমার জানা মতে নেই। অথচ সোহেল তার প্রথম স্ত্রী সন্ত্রান ছেলে গোপনে আবার সর্বহারা বাহিনীর প্রধান পচার মামাতো বোন মৃত তাহের মন্ডলের ছোট মেয়েকে বিবাহ করে নিজ উপজেলা ছেড়ে হরিণাকুন্ড উপজেলার পারদখলপুর গ্রামে অর্থাৎ পচার নিজ গ্রামেই তার বাহিনীর প্রধান হিসাবে কাজ করছে বলে গোপন সংবাদের বিত্তিতে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে পারদখলপুর গ্রামের কয়েকজন জানান,সোহেল দীর্ঘদিন যাবৎ পচা বাহিনীর সাথে সন্ত্রাসী ,চাদাবাজি ফেনসিডিল ইয়াবাসহ বেশ কিছু খারাপ কাজের সাথে জড়িতছিল,বাহিনীর প্রধান পচা বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর সেও বেশকিছু দিন আত্তগোপনে ছিল হঠাৎ করে ঈদের পরপর রাতের আধারে তার বাহিনী নিয়ে গ্রামে প্রবেশকরে,যা এলাকার অনেকের জানা। সে বর্তমানে আবার নতুন করে দলগঠন করে তার সাথে-থাকা সহ কারিদের নিয়ে সন্ত্রাসী তান্ডব চালাচ্ছে। যার ভয়ে কেও বলতে পারে না। কখনো হাত-পা কেটে নেওয়া-কখনো বা হত্যার হুমকি দিয়ে প্রথমে সে চাঁদা দাবি করে,তারপর সে প্রশাসনের বিভিন্ন বাহিনীর র্সোস হিসাবে পরিচয় দেয় এক পর্যায়ে টাকা দিতে রাজি না হলে তার অন্ধকার বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে যায়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের প্রতিনিধি কাছে নাম না প্রকাশের শর্তে হরিণাকুন্ড উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের একজন বলেন, সোহেল আমার কাছে প্রথমে চাঁদা দাবি করে আমি চাদা দিতে রাজি না হওয়াই আমাকে র‌্যাব দিয়ে ধরিয়ে দিবে বলে জানান,তার পরও আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়াই রাতে তার বাহিনীদিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যাই এবং হত্যার হুমকি দিলে আমি প্রাণ ভয়ে বাইশ(২২) হাজার টাকা দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছি। তিনি আরো বলেন,এমন অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা আছে সোহেলের বিরুদ্ধে যা একটু খোঁজ নিলেই বেরিয়ে যাবে। এ ব্যাপর ইউপি মালমারী গ্রামের ইউুপ মেম্বর  বাবুল হোসন জানান,সোহেলের জীবন অনেক কষ্টের,তার চাচাকে মেরে ফেলার পর সে গ্রাম ছাড়া হয়েছে আর আসে নি শুনেছি ঝিনাইদহে থাকে। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে জানতে চাইলে জানান,সে একটা চিটার বাটপার এসব করেই সে খাই কিন্তু লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় আমরা কিছিই করতে পারি না। তারপরও তার ব্যাপাওে প্রশাসন সতর্ক আছে।

ঘটনা প্রসংঙ্গে আবারও যায় তার নিজ গ্রামে আমাদের প্রতিনিধি,সেখানে গেলে কয়েকজন বলেন,ভাই ক্যামেরা বন্ধ করেন ছবি তোলেন ক্যান? ছবি তুলে কি হবে তার ব্যাপারেতো সবাই জানেন কয় কিছুইতো হয় না, চাদাবাজি সন্ত্রাসীসহ সকল অপকর্মইতো করে ব্যারাই সে আগে তার চাচা মনজুরুল করতো এখন করে সে। আবার নাকি র‌্যাব ডিবির র্সোসসে কিছুই বুঝি না এসবলোক কি করে প্রশাসনের র্সোস হয়। যারা অপরাধ করে তারাই যদি আবার প্রশাসনের র্সোস হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কে কথা বলে কে মার খাবে।  অপর এক জন বলেন,ভাই আপনারা সাংবাদিক আপনারার সবি জানেন,কয় তার তো কিছুই হয় না,আপনারা একটু ভাবুনতো কেন সে ঘরছাড়া,বাড়ীছাড়া,মরলো তার চাচা কিন্তু কেনসে ঘরছাড়া হলো,কেন সে আবার নতুন বিয়ে করলো তার আবার নাকি আরেক বাহিনীর প্রধানের মামাতো বোন।

দেখুন তো সে কি কাজ করে,কি করে চলে তার সংসার আমরা এতো কাজ করেই সংসার চলে না আবার সে শুধু ঘুরে বেড়াই তাহলেতো সে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসবাজি করবেই। আপনারা কিছুই করতে পানে না তার মোবাইল ট্যাগ করলেইতো সবি বেরিয়ে আসে খালীখালী ছবি তোলেন । বর্তমান সর্বহারা বাহিনীরপ্রধানসোহেলরব্যাপারে পারদখলপুর,শ্রীরামপুর,পেশীনগর,ফতেপুর,রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাধারণ মানুষের মনে সর্বক্ষন আতংক বিরাজ করছে বলে জানান অনেকে।

পারদখলপুর গ্রামের সচেতন মহল মনে করেন,পাশের উপজেলা শৈলকুপা থেকে এই মহামারী করনার সময় একটা ছেলে কেন অন্য গ্রামে থাকে তাছাড়া পচা বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর কে চালাই তার দল কোথায় গেল তার অশ্র,কোথায় গেলো তার সহকারীরা কে-কে থাকে সোহেলের সাথে তারা ক্যামন মানুষ,সোহেলের মোবাইল কে কে ফোন করে,কই কোন ভালো মানুষতো তার সাথে যোগাযোগ করে না।

এই তথ্য প্রযুক্তির যুগেও যদি আবার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালই তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে কি হবে? মোয়াজ্জে বাহিনী,বাদশা বাহিনী,পচা বাহিনীর পর আবার নতুন করে সোহেল বাহিনী হয়েছে,প্রশাসনের প্রতি দিষ্ট আকর্শন করে এ সময় পারদখলপুর,শ্রীরামপুর,পেশীনগর রামচন্দ্রপুর,দখলপুর গ্রামের সচেতন মহল মনে করেন,আবার নতুন করে মোয়াজ্জেম,বাদশা,পচা বাহিনীর মতো সর্বহারা বাহিনী তৈরী হওয়ার আগেই ব্যাবস্থা নেবে প্রশাসন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকার সর্বসাধারনের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here