নাইকো মামলায় জয় পেলো বাংলাদেশ

সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: আজ দুপুরে বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নিজ বাসভবন থেকে ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন, টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের ঘটনায় কানাডিয়ান বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি নাইকোর বিরুদ্ধে মামলায় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

আর এ বিষয়ে দেওয়া রায়ে নাইকোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আদালত ইকসিড। জানা যায়, ইকসিডের রায়ের ফলে নাইকোর দাবি করা পাওনা আর পরিশোধ করতে হবে না বাংলাদেশকে। এছাড়া ব্লক ৯ বা কুমিল্লার বাঙ্গুরায় নাইকোর সম্পত্তিও বাংলাদেশ নিয়ে নিতে পারবে।

Pop Ads

নসরুল হামিদ বলেন, ট্রাইবুনাল নাইকোকে অভিযুক্ত করে বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে ক্ষতিপূরণ বাবদ বাংলাদেশ নাইকোর কাছ থেকে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে। আরও  জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সেই শুনানিতে আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়ের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ যে ক্ষতিপূরণ পাবে, তার চূড়ান্ত পরিমাণ নির্ধারণ হতে পারে। প্রসঙ্গত, দরপত্র ছাড়াই ছাতকসহ কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকারকে একটি প্রস্তাব দেয় নাইকো। জ্বালানি বিভাগ এ প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে তিনটি নির্দেশনা দেয়।

এতে বলা হয়, বাপেক্স এবং নাইকো যৌথভাবে সমীক্ষা করে প্রান্তিক গ্যাসক্ষেত্র নির্ধারণ করবে। এর পর উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হবে। দরপত্রে কেউ নাইকোর চেয়েও আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিলে তারাই গ্যাসক্ষেত্র ইজারা পাবে। এ ব্যাপারে বাপেক্স মত দেয়, ছাতককে প্রান্তিক গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণার সুযোগ নেই। কারণ সেখানে কোনো গ্যাসই তোলা হয়নি।

অন্যদিকে, তৎকালীন আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদের আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মওদুদ আহমদ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট মত দেয়, ছাতককে প্রান্তিক গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করা যায়। সরকার এই মত আমলে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ছাতকের টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নে ২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নাইকোর সঙ্গে চুক্তি করে বাপেক্স।

গ্যাসক্ষেত্রে অনুসন্ধান কূপ খননকালে ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন দুই দফা প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। দুর্ঘটনার কারণে মজুদ গ্যাস পুড়ে যায়। আশপাশের সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এ জন্য নাইকোর কাছে ৭৪৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে পেট্রোবাংলা, যা দিতে নাইকো অস্বীকৃতি জানায়। ক্ষতিপূরণ আদায়ে পেট্রোবাংলা নাইকোর বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে স্থানীয় নিম্ন আদালতে মামলা করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here