পেঁয়াজ ভর্তি ৫০০ ট্রাক সীমান্ত থেকে মহারাষ্ট্রে ফিরে গেল !!

পেঁয়াজ ভর্তি ৫০০ ট্রাক সীমান্ত থেকে মহারাষ্ট্রে ফিরে গেল !!

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): গত ১৪ সেপ্টেম্বর পিয়াজ রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মহারাষ্ট্রের নাসিকে ফিরে গেছে পিয়াজ ভর্তি প্রায় ৫০০ ট্রাক। ১২,৫০০ মেট্রিক টনের ওই পিয়াজের আনুমানিক মূল্য ৪১ কোটি রুপি।

ভারতের হর্টিকালচার প্রোডিউস ইক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (এইচপিইএ) এর সহ-সভাপতি দানিশ শাহ জানান, বাংলাদেশের আমদানিকারকদের বরাত অনুযায়ী পিয়াজ ভর্তি ৬৫০ ট্রাক সেদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল।

Pop Ads

এর মধ্যে ৩৭৫০ টন পিয়াজ ভর্তি ১৫০ ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি পায়। বাকী ৫০০ ট্রাক নাসিকে ফিরে আসে। বাজারে পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধি ও যোগান কম থাকার কারণে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)’এর তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, এখন থেকে সমস্ত ধরনের পিয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পিয়াজের রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে। সূত্রে খবর, এরপরই আন্তর্জাতিক সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া পিয়াজ ভর্তি ট্রাকগুলি এবং যাদের ‘লেট এক্সপোর্ট অর্ডার’ (এলইও) অনুমতি কেবলমাত্র তাদেরই বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

যদিও বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়া রাস্তায় থাকা পিয়াজ ভর্তি ট্রাক এবং যেগুলি পরে সীমান্তে পৌঁছায় সেগুলিকে প্রতিবেশী দেশে ঢোকার অনুমতি দেয়নি ভারত সরকার। অন্যদিকে এইচপিইএ-এর তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে রপ্তানি না হওয়ার কারণে ৬০০০ টন পিয়াজ ভর্তি মাত্র ২০৮টি কনটেইনারকে মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহেরু পোর্টট্রাস্ট (জেএনপিটি)-তে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আর ৩০০০ টন পিয়াজ ভর্তি ১০০টি কনটেইনার এখনও মুম্বাই বন্দরে আটকে রয়েছে। নাসিকের এক পিয়াজ রপ্তানিকারী মনোজ জৈন জানান, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে রপ্তানিকারকরা তাদের ট্রাক ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। আসলে সরকারের উচিত ছিল পিয়াজ ভর্তি সব ট্রাক ও কনটেইনারগুলিকে রপ্তানি করতে অনুমতি দেওয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here